উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২/০৯/২০২২ ৩:৪৪ পিএম
কালুরঘাট সেতু

১৯৩০ সালে কালুরঘাট সেতু নির্মিত হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ২০০১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে রেলওয়ে।

২০১১ সালে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) একদল গবেষক এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। সেই সেতু সংস্কার করে ট্রেন যাবে কক্সবাজার।
সেতুটি সংস্কার কিভাবে হবে তা পরামর্শ দিবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। তার জন্য ফি নিবেন সাড়ে ৮ কোটি টাকা।

জানা গেছে, কালুরঘাট সেতু ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের আগে সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিকে বেশি না হলেও প্রতিদিন একটি ট্রেন চলাচল করবে।

সেতুটি মেরামতের পর ছোট মিটারগেজ ইঞ্জিন দিয়ে চালানো হবে ট্রেন। মেরামতের ব্যাপারে বুয়েটের সাথে খুব শীঘ্রই রেলওয়ের চুক্তি হবে। এরপর মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করবে বুয়েট। তারা ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কাজ শুরু করবে। নতুন কালুরঘাট সেতুর নকশা পরিবর্তন হওয়ায় এবং প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছে।
আগামি জাতীয় নির্বাচনের আগে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করা সম্ভব নয়। কাজও হচ্ছে না শুরু। তাই রেল কর্তৃপক্ষ পুরনো সেতুটি বুয়েটের পরামর্শে সংস্কার করে ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেয়। পুরনো কালুরঘাট সেতুটি মেরামত উপযোগী করে তোলার জন্য বুয়েট তাদের পরামর্শ ফি বাবদ প্রথমে ১২ কোটি টাকা চাইলেও শেষ পর্যন্ত ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকায় সম্মত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নতুন নকশায় কালুরঘাট সেতু তৈরিতে সম্মতি দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন নকশা চূড়ান্ত হওয়ায় এখন প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তৈরি করা হবে। এরপর কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) সাথে ঋণ চুক্তি শেষে একনেকে উঠবে। একনেকে অনুমোদনের পর টেন্ডার শেষে ঠিকাদার নিয়োগ হবে।

কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, অনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করতে ২০২৩ সাল চলে যাবে। ২০২৪ সালের শুরুতে আমরা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবো। স্বপ্নপূরণের পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে প্রায় ৬০ কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত। ২০২৩ সালের মধ্যে আমাদের ট্রেন চালাতে হবে। তাই ২০২৩ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি। এরপর এই রেলপথে ট্রেনের ট্রায়াল শুরু হবে।

বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বুয়েটের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। তারা স্টাডি এবং ডিজাইন করবেন। পুরাতন কালুরঘাট সেতু মেরামত করে সে সেতুতেই কক্সবাজার রুটের ট্রেন চলবে। এখন এমনিতে ট্রেন চলছে, কক্সবাজার রুটে দ্রুতগতিতে ট্রেন চালানোর জন্য কালুরঘাট সেতু মেরামত করা হবে

পাঠকের মতামত

চট্টগ্রামে দুই কোটির চাঁদাবাজি, বৈছাআ নেতা নিজামের পদ স্থগিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ), চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনের পদ ‘সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে’ ...

প্রবাসীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ স্বজনের

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের তালুকদার পাড়ার প্রবাসী মোহাম্মদ রুবেলের মরদেহ দেশে ফিরেছে একটি কফিনে ...

ছেলের বিয়েতে আ.লীগ নেতা, গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিয়ে কেন্দ্র করে বোয়ালখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল হককে গ্রেফতারের ...

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, চট্টগ্রাম -কক্সবাজার সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর ...

কক্সবাজারের সাবেক জেলা জজ-ডিসিসহ পাঁচজনের বিচার শুরু

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক ...